এবার জাপানের ইয়োকোবামা শহরে একটি শপিং সেন্টার থেকে এক কিশোরী আত্মহত্যার জন্য লাফিয়ে পড়েন। কিন্তু ওই কিশোরী মাটিতে পড়ার সময় ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারীর ওপরে পড় যান। এতে দুজনেরই মৃত্যু হয়। খবর বিবিসি
এদিকে ১৭ বছর বয়সী ওই স্কুল শিক্ষার্থী জনবহুল একটি শপিং সেন্টার থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দেন। পরে সে ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর ওপর পড়েন। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ওই কিশোরী কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যায়। এর কিছু সময় পর ওই নারীও মারা যায়। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, জাপানে অন্যান্য দিনের তুলনায় ১ সেপ্টেম্বর ১৮ বছরের নিচে অনেক কিশোর কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এর পেছনে স্কুলের নতুন নীতিকে দায়ী করা হয়েছে।
গত বছর জাপানে ৫১৩ জন শিশু আত্মহত্যা করে। এত শিশুর আত্মহত্যা করার পেছনে স্কুল ত্রুটিকে দায়ী করা হয়েছে। জাপানে যারা স্কুলে যেতে চায় না তাদের ‘ফুটোকো’ নামে ডাকা হয়।
এদিকে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আগের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যাদেরকে ফুটেকো নামে ডাকা হয় তারা বিভিন্ন কারণে স্কুলে যেতে চান না। যার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক সংকট, বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্য এবং বুলিং। সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃপক্ষ এ সমস্যা সমাধানে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।